স্টাফ রিপোর্টার::
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রধান উপদেষ্ঠা ও বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ মুুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ চৌধুরীর স্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধা সনদ সুনামগঞ্জে জাল করে ও স্মারক ছাড়াই ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী সরকারি বিভিন্ন সুবিধা নিচ্ছে। এই অভিযোগে গত ৪ জুন সোমবার বিকেলে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন সুনামগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সদস্যসচিব ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি মালেক হুসেন পীর। কিছু ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা স্মারকহীন সার্টিফিকেট জাল করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় স্কুল কলেজে সন্তান ভর্তি-সরকারি চাকুরি গ্রহণ, ব্যাংক থেকে ঋণসহ নানা সুবিধা নিচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা যাচাই বাছাই না করে বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে তাদের সহযোগিতা করায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন। অবিলম্বে এসব বিষয় তদন্ত করে ভূয়া সার্টিফিকেটে সুবিদাগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
মালেক হুসেন পীরের লিখিত আবেদন থেকে জানা যায়, বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানীভাতার বিপরিতে কেবল সার্টিফিকেট দিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা ঋণ তোলা যায়। তাছাড়া বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রধান উপদেষ্ঠা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল বাংলাদেশ মুুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ চৌধুরীর প্রতি স্বাক্ষরিত (১৯৯৯-২০০১) সার্টিফিকেট বা মুকিক্তযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে স্মারক ও নম্বরযুক্ত সার্টিফিকেট দাখিল করে বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ নিয়ে সুনামগঞ্জে সার্টিফিকেট জাল করে ও স্মারক ছাড়াই ব্যবহার করছে কিছু ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা। এই অবৈধ সার্টিফিকেটের মাধ্যমে তারা সুবিধা নেওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা। তাছাড়া সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইজারাকৃত হাট বাজার থেকে প্রাপ্ত অর্থের চার পার্সেন্ট টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের অনুদান হিসেবে দেওয়া হলেও সম্প্রতি এই সুবিধা নিতেও ওই জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে সুবিধা নিচ্ছে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা। অবিলম্বে যারা এই স্মারকবিহীন সার্টিফিকেট দাখিল করে সুবিধা নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেন মালেক হুসেন পীর।
মালেক হুসেন পীর বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বঞ্চিত করে কিছু ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা স্মারকবিহীন জাল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে সরকারি সুবিধা নিচ্ছে। অবিলম্বে সুবিধাভোগীদের সার্টিফিকেট জব্দ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধা নিশ্চিত করতে আমি জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন জানিয়েছি।