স্টাফ রিপোর্টার
তাহিরপুর উপজেলায় মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন চলতি অর্থবছরে এনএটিপি-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ৮ টি সিআইজি সমিতির নির্বাচিত ৩টি করে মোট ২৪ টি পুকুর (১২ টি তেলাপিয়া এবং ১২ টি কার্প মিশ্র চাষ) প্রদর্শণী পুকুর হিসেবে স্থাপন করে প্রদর্শনী উপকরণ হিসেবে পোনা মাছ (দেশীয় রুই ও তেলাপিয়া), মৎস্য খাদ্য (ভাসমান, ডুবন্ত, পাউডার, প্রিস্টার্টার), চুন (জিওলাইট) এবং সাইনবোর্ড বিতরণ কার্যক্রম বরাদ্দ সমাপ্ত করা হয়েছে।
বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শণী পুকুর হিসেবে স্থাপন ও প্রদর্শনী উপকরণ বিতরনকালে উপস্থিত ছিলেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্ণেন্দু দেব, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস ছালাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সমাপন চাকমা, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আতিকুর রহমান সহ স্থানীয় রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
জানা যায়, এনএটিপি-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের সিআইজি সমিতির ফলাফল প্রদর্শক চাষী ও সহযোগী মৎস্যচাষী সহ সকল সদস্য আধুনিক প্রযুক্তিতে মাছ চাষ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে প্রশিক্ষণলব্ধ বাস্তব জ্ঞান অর্জন করেছেন। এছাড়াও এ প্রকল্পের মাধ্যমে সি আই জি সমিতির সদস্যরা আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করে মাছ চাষ করছেন। এতে তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে এবং মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে এ অঞ্চলের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে অনেকাংশে সহজ হবে।
উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের রতনপুর সি আই জি মৎস্যজীবি সমিতির সাভাপতি ফজলুর রহমান জানান, এবার তিনি মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছ চাষে আগ্রহী এবং উপজেলা মৎস্য দপ্তর তাহিরপুর হতে রতনপুর সি আই জি এর মাধ্যমে মনোসেক্স তেলাপিয়া এর ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) পোনা ও এর সাথে খাবার হিসেবে পাউডার, প্রি-স্টার্টার, চুন (জিওলাইট) এবং একটি সাইনবোর্ড পান ।
পুরাণঘাট সি আই জি মৎস্য সমিতির জাহিদ আনোয়ার রাসেল জানান, তিনি কার্প মিশ্র চাষ এর প্রদর্শনী করছেন নিজ পুকুরে এবং সে জন্য তিনি পোনা মাছ , খাবার ও চুন এবং একটি প্রদর্শনী সাইনবোর্ড উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে সংগ্রহ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ জানান, উপজেলার ০৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে শ্রীপুর দক্ষিণ, বড়দল দক্ষিণ এবং তাহিরপুর সদর বন্যার কারনে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় উক্ত ইউনিয়ন সমূহে প্রদর্শনী কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে হাওরের পানি কমলে বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ক্রমান্বয়ে এসব ইউনিয়নেও প্রদর্শনী স্থাপন করব। তিনি আরো জানান, দূর্গম হাওর অঞ্চলে যাতায়াত, লোকবলের অভাব এবং প্রদর্শনী উপকরণ এর দুষ্প্রাপ্যতা হেতু উক্ত কার্যক্রম পরিচালনা বেশ কষ্টসাধ্য ছিল।