হিরণ্ময় রায়:
ইউরোপ থেকে এবার আসতে পারেনি নেদারল্যান্ড, ইটালী, গ্রীসের মতো জায়ান্টরা। কারণ এদের সাথে লড়াই করেই বিশ্বকাপে উঠে এসেছে আইসল্যান্ড। ফিফা র্যান্কিং এ ২২তম দেশ। ২০১৬ সালে ইউরো কাপে ইংল্যান্ড, স্পেনকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল আইসল্যান্ড। শারীরিক সক্ষমতা, গতি, দুর্ভেদ্য ডিফেন্স নিয়ে আগলে রেখেছে নিজেদের রক্ষণভাগ। আর যখন আক্রমণে গিয়েছে তখন আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের দুর্বলতাই প্রকাশ পেয়েছে। যদি নীচে নেমে রক্ষণাত্মক না খেলে আরো কিছু আক্রমণে যেতো দলটি, তাহলে হয়তো আপসেট ঘটতে পারত।
ক্লাব ফুটবলের ভিন গ্রহের বাসিন্দা বলে খ্যাত
লিওনেল মেসির নেয়া শটগুলোতে তাঁর শারীরিক সক্ষমতার প্রকাশ হয়নি। গত রাতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর গোল অভিমুখে প্রচন্ড পাওয়ার শটগুলোর তুলনায় মেসি ছিলেন অনেক দুর্বল। আর্জেন্টিনার গ্রুপটা এবারে গ্রুপ অব ডেথ বললে অত্যুক্তি হবে না। সামনের ম্যাচগুলোতে আফ্রিকান সুপার ঈগল নাইজেরিয়া বা আরেক জায়ান্ট কিলার সাবেক বিশ্বকাপ সেমিফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়া কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। আর্জেন্টিনার ডিফেন্স নিয়ে নতুন করে কাজ করতে হবে দলটিকে। নতুবা আপসেট ঘটতে পারে। মেসিকে তাঁর নামের সাথে সুবিচার করতে হবে। লাতিন আমেরিকার সুন্দর ধ্রুপদী ফুটবল এবং ইউরোপের পাওয়ার ফুটবলের সৌন্দর্য দেখতে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানী, পর্তুগালদের শেষ চারে দেখতে চাই। অবশ্য যোগ্যতা নিয়ে ডেনমার্ক, স্পেন, সুইডেন উঠে আসাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। শেষ কথা হল আমরা শেষ পর্যন্ত নান্দনিক ফুটবল উৎসব দেখতে চাই। সকল দলের সমর্থকদের জন্য শুভকামনা।