বিশেষ প্রতিনিধি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ:
এই সকরারের বাকী আর মাত্র ৯৩ দিন। গণনার এই দিন শেষে অক্টোবরেই (সম্ভবত ৩১ অক্টোবর) ভেঙ্গে দেওয়া হবে বর্তমান মন্ত্রীসভা। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে ৯০ দিনের জন্য খুব ছোট্ট পরিসরে গঠন করা হবে নির্বাচনকালীন সরকার। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমপক্ষে ১০ দিন কথা বলবেন দেশের তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে। শুনবেন তাদের কথাও। গণভবনে ডেকে নেবেন সবাইকে, দেবেন নতুন নতুন নির্দেশনা। ইতোমধ্যে (রোববার) দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলাকে নিয়ে গণভবনে একটি সভা শেষ করেছেন শেখ হাসিনা। সভায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের নের্তৃবৃন্দ যোগ দিয়েছিলেন। শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক কর্মীদের দেওয়া গুতুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা। এই নতুন নির্দেশনা নিয়েই মাঠে উদ্যোমী হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত নিচ্ছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের প্রিয় নেত্রী, আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক নতুন নতুন নির্দেশনা পেয়ে উজ্জীবিত দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় এসব নেতাকর্মীরা। এলাকায় এসে দলের জন্য কাজ করতে পুরো উদ্যোম নিয়ে মাঠে নামবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ও অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের রাজনৈতিক সহকারি হাসনাত হোসেন। তারা জানান, আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিষয়ে তাদেরকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশের কথা বলেন। বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে-ই নৌকার মননোয় পান না কেনো নিজেদের স্বার্থে কিংবা বিরোধীতা করে দলের উন্নয়নের বিরোধীতা করা যাবে না। দল যখন ক্রান্তি লগ্নের মধ্যদিয়ে সময় পাড় করেছিলো তখনকার ত্যাগী নেতাদের দেখাশুনা করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে গ্রামীণ উন্নয়নের কথা জোড় দিয়ে বলেন।
এসব নির্দেশনা পেয়ে শনিবার দিন শেষে রাতে ঢাকা ছাড়েন তৃণমলের নেতা-কর্মীরা। নেতারা জানান, আগামী নির্বাচনে দলকে জিতাতে যা করার দরকার প্রধানমন্ত্রীর পুরো বক্তব্যে এসব কথাই ছিলো। যেকোনো ভাবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে। এই উদ্যোমেই আমরা মাঠে নামবো। আমাদের হাতে সময় অনেক কম। তাই এলাকায় এসেই কাজে নামতে চাই।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনামূলক এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জ সদর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজি আবুল কালাম, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজি তহুর আলী, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, জেলা পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য জহিরুল ইসলাম জহুর, জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া, দরগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনির উদ্দিন, পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর কালাম, পূর্ব পাগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আকতার হোসেন, শিমুলবাঁক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতু, পূর্ব পাগলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিক খাঁন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল বাছিত সুজন, সহ-দফতর ও বিষয়ক সম্পাদক ও অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের রাজনৈতিক সহকারি হাসনাত হোসেন। যুবলীগের সভাপতি বুরহান উদ্দিন দোলন, সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রভাষক নূর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান সুজন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম শিপন, জেলা কৃষকলীগের সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, মাসুক মিয়া, কৃষকলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক গণি ভান্ডারি, ফরিদ আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রয়েল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তালুকদার, যুবলীগের সাংগঠনিক শাহিন আহমদ, পূর্ব পাগলা ইউনিয় আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিদুর রহমান মধু ও সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল করিম, আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদ আহমদ, আমীর হোসেন, আনছার মিয়া, রিপন আহমদ, যুবলীগ নেতা শাহীন আহমদ, আরশ আলী, রুবেল মিয়া, ফুল্টন তালুকদার,, সাইফুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, মাসুদুর রহমান, নূর আলম, মতিউর রহমান মতি, জুসেন আহমদ, জুবেল মিয়া, জুবেল মিয়া, আফরোজ মিয়া ও সৈয়দুর রহমানসহ অন্যান্য উপজেলার নের্তৃবৃন্দ।