অনলাইন::
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি ধনী নাগরিকদের আমানত কমেছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমার পরিমাণ ৪৮ কোটি ১৩ লাখ সুইস ফ্রাঁ, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। তার আগের বছর ২০১৬ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ ছিল ৬৬ কোটি ১৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা ৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা।
অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত কমেছে দেড় হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এর আগে টানা পাঁচ-ছয় বছর ধরে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি নাগরিকদের আমানত শুধু বাড়ছিলই। ২০০২ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের মাত্র ৩ কোটি ১০ লাখ ফ্রাঁ আমানত ছিল। যা গত দেড় দশকে বাড়ে, ২২ গুণ।
আজ বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সুনির্দিষ্ট গ্রাহকের তথ্য না দিলেও গত কয়েক বছর ধরে দেশভিত্তিক আমানতের পরিমাণ প্রকাশ করে আসছে এসএনবি। সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী, কোনো বাংলাদেশি নিজের নাগরিকত্ব গোপন করে অর্থ জমা রাখলে ওই অর্থ এ হিসাবে অন্তর্ভূক্ত নয়। গচ্ছিত রাখা স্বর্ণ বা মূল্যবান সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমানও হিসাব করা হয়নি প্রতিবেদনে।
ব্যাংকে গোপনে অর্থ গচ্ছিত রাখার জন্য বিশ্বের ধনীদের একটি অংশের প্রথম পছন্দ সুইজারল্যান্ড। গ্রাহকের নাম-পরিচয় গোপন রাখতে কঠোর দেশটির ব্যাংকিং খাত। যে কারণে অবৈধ আয় ও কর ফাঁকি দিয়ে জমানো টাকা রাখা হয় সুইস ব্যাংকে।
তবে গত কয়েক বছরে বিষয়টি নিয়ে সুইজারল্যান্ড সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে ২০১৭ সালে এসে আমানত কমেছে সুইস ব্যাংকে।
সুইস ব্যাংকে অর্থ-সম্পদ গচ্ছিত রাখার বিষয়ে গোপনীয়তা কমতে থাকায় বিশ্বের অনেক ধনী এখন অবৈধ টাকা জমা রাখার জন্য ঝুঁকছেন লুক্সেমবার্গ, কেম্যান আইল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, পানামা, বারমুডা এবং সিঙ্গাপুরের মতো দেশের দিকে।