অনলাইন::
অবশিষ্ট আর কোনো পথ খোলা না পেয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে বিএনপি কূটনৈতিক তৎপরতার দিকে ঝুঁকেছে। কূটনীতিকদের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি। এরইমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপের সূচনা করতে এবং নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে ক্ষমতাসীন দলকে অনুরোধ জানিয়েছেন। এর ফলশ্রুতিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতে ওবায়দুল কাদের এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এইচ. টি. ইমাম বিএনপির সঙ্গে সংলাপে যাওয়ার পাঁচটি শর্ত দিয়েছেন।
শর্তগুলো হলো-
প্রথমত, বিএনপি গঠনতন্ত্র থেকে বাদ দেওয়া ৭ ধারা পুনর্বহাল করতে হবে। বিএনপির নেতৃত্ব হতে হবে দুর্নীতিমুক্ত। দুর্নীতিবাজ কোনো নেতৃত্বের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নীতিগতভাবে কোনো সংলাপ করতে পারে না।
দ্বিতীয়ত, বিএনপিকে যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। যেহেতু যুদ্ধাপরাধী এবং জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিএনপি নিবিড়ভাবে জড়িত ফলে উগ্র মৌলবাদী, যুদ্ধাপরাধী, দেশদ্রোহীদের দোসর কারও সঙ্গে আওয়ামী লীগ বৈঠকে বসতে পারে না। ফলে বিএনপিকে তাদের এ সংক্রান্ত নীতি পরিবর্তন করতে হবে।
তৃতীয়ত, বিএনপি এখনো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকার করে না এবং জাতীয় দিবস হিসেবে শোক দিবস পালন করে না। অথচ সংবিধানিক ভাবেই এটি স্বীকৃত। বিএনপিকে যদি বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ করতে হয় তাহলে অবশ্যই জাতির পিতাকে স্বীকার করে সংলাপে আসতে হবে। এই দিনে শোক দিবস পালন করতে হবে। একই সঙ্গে ১৫ আগস্টে বেগম জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালন করা যাবে না। ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার সব ধরণের উৎসব বাতিল করতে হবে।
চতুর্থত, বিএনপিকে বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। অন্যায্য ও অযৌক্তিক কোনো দাবি নিয়ে আলোচনা হতে পারে না। আলোচনা হতে হবে সংবিধানের আওতায়।
পঞ্চমত, বিএনপিকে নিয়ে সংলাপ হবে- নির্বাচন কীভাবে আরও সফলভাবে করা যায় তা নিয়ে। নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে কোনো সংলাপ হবে না। নির্বাচনে যাওয়ার অঙ্গীকারপূর্বক বিএনপিকে সংলাপে যেতে হবে।
জানা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ঢাকাস্থ অফিসকে সংলাপের শর্তগুলো জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলো বিএনপি মেনে সংলাপে যেতে চাইলে তা ইইউ প্রতিনিধি ও মার্কিন দূতাবাস মারফত আওয়ামী লীগকে জানালে তবেই হতে পারে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংলাপ।