1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

বিশ্বের চার কোটি মানুষ আধুনিক দাস

  • আপডেট টাইম :: শুক্রবার, ২০ জুলাই, ২০১৮, ১.২৮ পিএম
  • ২৯৫ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন::
সারাবিশ্বে আধুনিক দাসত্বের শিকার চার কোটির বেশি মানুষ। আর বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এই সংখ্যা চার লাখের বেশি। মহাদেশ হিসেবে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ আধুনিক দাসত্বের কবলে রয়েছেন। সবচেয়ে বেশি উত্তর কোরিয়ায়। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি মানুষ এই দাস প্রথার শিকার। ১৬৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯২ নম্বরে। বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ ৯২ হাজার মানুষ আধুনিক দাসত্বের কবলে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার ‘দ্য গ্লোবাল স্লেভ ইনডেক্স’ বা বৈশ্বিক দাসত্ব সূচক নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

দাসপ্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করা সংগঠন ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন প্রতিবছর এ সূচক প্রতিবেদন তৈরি করে। বিশ্বের ১৬৭ দেশে গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য পাওয়া পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে চার লাখেরও বেশি মানুষ রাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া শ্রম, জোরপূর্বক বিয়ে ও যৌন নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে সংখ্যার চেয়ে সারাবিশ্বে এই সংখ্যা প্রায় ১০০ গুণ বেশি। তাদের হিসেবে বিশ্বে ৪ কোটি ৩ লাখ এই দাসত্বের শিকার।

ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন জানায়, আধুনিক দাসত্ব বিষয়টি অনেক জটিল। সীমানা পেরিয়ে এই অপরাধের পরিধি বিস্তৃত। এই সূচক তৈরিতে জাতীয় পরিসংখ্যান, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মতো সংগঠনেরও তথ্য যুক্ত করেছে ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন। তবে যারা এই জোরপূর্বক শ্রমের শিকার শুধু তাদেরই আধুনিক দাসত্বের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছে সংগঠনটি।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ড্রু ফরেস্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ। আর এখানেই ৪ লাখ মানুষ দাসের মতো জীবন যাপন করছেন। জোরপূর্বক শ্রম চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখান থেকেই বোঝা যায় সারা বিশ্বের পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ।’

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এশিয়া মহাদেশে এই আধুনিক দাসপ্রথা সবচেয়ে বেশি। উত্তর কোরিয়ায় সর্বোচ্চ। দেশটির ২৬ লাখ জনসংখ্যার প্রতি ১০ জনের একজন এই দাসত্বের শিকার।

বিশ্বে মোট আধুনিক দাসত্বের শিকারের এক তৃতীয়াংশই জোরপূর্বক বিয়ের মাধ্যমে এই অবস্থায় পড়েছেন। সংখ্যার হিসেবে যা প্রায় দেড় কোটি। নারীরাই এর শিকার হয় বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সাংস্কৃতিকভাবেই মেয়েদের জোর করে বিয়ে দেওয়ার এই চর্চায় যৌন নিগ্রহ, আর্থিক সীমাবদ্ধতা, নির্যাতনের শিকার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। যার শেষ হয়ে আধুনিক দাসত্বে।

সংগঠনটি জানায়, জোরপূর্বক বিয়ে বন্ধ করা উচিত। অন্তত ১৮ বছর বয়সকে বিয়ের উপযুক্ত নির্ধারণ করা, জোরপূর্বক শ্রম বন্ধ করা ও কর্মক্ষেত্রের উন্নয়নে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সরকারের।

এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ বৈশ্বিক পণ্য আমদানির মাধ্যমে তারাই জোরপূর্বক শ্রম নিচ্ছে। বছরে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, কাপড়, মাছ, বাঁশসহ অনেক পণ্য আমদানি করে দেশটি। আর এগুলো উৎপাদন বেশিরভাগ সময়ই জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া শ্রমের মাধ্যমে হয়।

সংস্থাটি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের আমদানির কারণে দাসত্বের প্রভাব সবচেয়ে বেশি চীনে। দেশটি থেকে ১২২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে যুক্তরাষ্ট্র। ভিয়েতনাম থেকে ১১.২ বিলিয়ন ও ভারত থেকে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন।

এছাড়া মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, ঘানা, আইভরি কোস্ট ও পেরুও রফতানি করে। ফরেস্ট বলেন, ‘এর কোনও দ্রুত সমাধান নেই। কিন্তু এর সমাধানের জন্য সরকার, ব্যবসায়ী ও গ্রাহক সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

তবে এই সূচকের সমালোচনা করে অ্যান্টি ট্রাফিকিং রিভিউয়ে ‘হোয়াটস রং উইদ দ্য গ্লোবাল স্লেভারি ইনডেক্স’ শীর্ষক একটি একটি প্রবন্ধে লিখেছেন অ্যানা গালাগার। তিনি বলেন, ‘আধুনিক দাসত্বের নাম করে অনেক কিছুকে এক করে ফেলা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, ‘আমাদের এখনও বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃতি কোনও প্রক্রিয়া নেই। আমরা এখন সমস্যার পরিধি তুলে ধরতে পারছি না। কিন্তু এটা খুবই প্রয়োজন।’

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!