অনলাইন ::
চলতি মাসের শেষ দিকে দেশের প্রথম সাবমেরিন কেবল ‘সি-মি-উই-৪’ এর মেরামতের কাজ শুরু হলে ইন্টারনেটে ধীরগতির সমস্যায় পড়তে পারেন গ্রাহকরা।
তবে বিকল্প ব্যবস্থা করায় ইন্টারনেট ব্যবহারীদের বড় কোনো ভোগান্তি পোহাতে হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) ।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, “আগামী ২৫ থেকে ৩০ জুলাই সিঙ্গাপুরে প্রথম সাবমেরিন কেবলের রিপিটার স্থাপন ও অন্যান্য মেরামত কাজ চলবে। তবে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ও আইটিসি থাকায় এ সময়ে ইন্টারনেট গতিতে সমস্যা তেমন হবে না।”
বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল ‘সি-মি-উই-৪’ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে, যার মাধ্যমে ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবিট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ পাওয়া যায়।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চালু হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন।
এই স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন কেবল থেকে সেকেন্ডে ১ হাজার ৫০০ গিগাবিট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।
সাবমেরিন কেবল ছাড়াও বাংলাদেশ এখন ছয়টি বিকল্প মাধ্যমে (আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের সঙ্গে যুক্ত।
বিএসসিসিএলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিকল্প ব্যবস্থা থাকায় আন্তর্জাতিক ভয়েস এবং ডেটা ও ইন্টারনেট সার্ভিসে উল্লেখযোগ্য কোনো সমস্যা হবে না বলেই কোম্পানি মনে করছে।
“তারপরও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলাকালীন দিনগুলোতে ইন্টারনেট গ্রাহকগণ সাময়িকভাবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সামান্য ধীরগতি বা এ ধরেনের কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।… সম্মানীত গ্রাহকগণের সম্ভাব্য সাময়িক অসুবিধার জন্য বিএসসিসিএল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।”