অনলাইন ডেক্স::
গুলশান হামলার ‘অপারেশন কমান্ডার’ নুরুল ইসলাম ওরফে মারজান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের ‘সাথি’ ছিলো বলে একাধিক বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে। শিবিরের সাথি মারজান সম্পর্কে এ কথা বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলেও দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় নুরুল ইসলামের ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ‘নুরুল ইসলাম শিবিরের সাথি ছিলেন।’ তিনি এ দাবির সমর্থনে বলেন, ‘২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুর রব ছাত্রাবাসে পুলিশ তল্লাশি চালায়। এ সময় একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। ওই ল্যাপটপে শিবিরের সাথির তালিকায় নুরুল ইসলামের নাম পাওয়া যায়। ল্যাপটপটি বর্তমানে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আছে।’
নুরুল ইসলাম শিবিরের সাথি ছিলÍপ্রক্টরের এ দাবির ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তা ছাড়া এ ব্যাপারে জানতে শিবিরের কয়েকজন নেতাকে ফোন করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘নুরুল ইসলাম নামে একজন ছাত্র আরবি বিভাগে ছিল। সে প্রথম বর্ষে জিপিএ–৩.৪৮ পেয়েছে। ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর দেখা যায়নি। সে তৃতীয় বর্ষে ভর্তি হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকায় বর্তমানে তাঁর ছাত্রত্ব নেই। আরবি বিভাগের সভাপতিকে আগামীকাল বুধবারের মধ্যে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে।’
আরবি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে চতুর্থ বর্ষে আছেন। চতুর্থ বর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, মারজানকে তাঁরা ফাহাদ নামে চিনতেন। তিনি খুবই মিশুক ছিলেন। সবার সঙ্গে কথা বলতেন। প্রথম বর্ষে ক্লাসে সে নিয়মিত ছিল। দ্বিতীয় বর্ষ থেকে অনিয়মিত হয়ে পড়ে। পরে তাঁকে সর্বশেষ পরীক্ষা দিতে ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে দেখা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কামরুল হুদা বলেন, নুরুল ইসলামের বিষয়ে সব তথ্য আজ মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সরবরাহ করা হয়েছে। রোববারের মধ্যে নতুন করে সব বিভাগের অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে হাটহাজারী থানার পরিদর্শক মজিবুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে তথ্য দিয়েছে, এর বাইরে তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে আমরা কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’