স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের তরুণ আইনজীবি, জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য ও লেখক অ্যাডভোকেট কল্লোল তালুকদার চপলের উপর হামলার চেষ্টার সময় পুলিশ একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। হামলা কারীদের মধ্যে আরো ৩-৪ জন পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাদের আটকের চেষ্টা করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় অ্যাডভোকেট কল্লোল তালুকদার চপলের বাসার সামনের রাস্তায় তিনি তার অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে হাঁটছিলেন। জনৈক রূপবাল নামক ব্যক্তি তার পথরোধ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় রূপবাল নামক ওই ব্যক্তি ফোন করে সুবেজ ও মামুনসহ কয়েকজনকে ফোন করে ঢেকে আনেন রূপবাল। মাতাল যুবকরা এসে কল্লোল তালুকদার চপলকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে হামলা করতে উদ্যত হলে পথচারীরা প্রতিবাদ করেন। এসময় রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী যুবলীগ নেতা শিমন চৌধুরী এগিয়ে এলে সুরেজ ও মামুনসহ মাতালরা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয় জনতা রুপবালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এখনো ওই ব্যক্তি সদর থানা পুলিশের হেফাজতে আছে।
যুবলীগ নেতা শিমন চৌধুরী বলেন, আমি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হট্টগোল শোনে এগিয়ে এসে দেখি অ্যাডভোকেট কল্লোল তালুকদার চপলকে আক্রমণ করে গালিগালাজ ও হামলার চেষ্টা চালায় কয়েকজন যুবক। এগিয়ে এসে দেখি সুরেজ ও মামুনসহ কয়েকজন। আমাদের দেখে তারা পালিয়ে গেলেও এই ঘটনার নায়ক রূপবালকে আটক করেছে পুলিশ।
অ্যাডভোকেট কল্লোল তালুকদার চপল বলেন, কোন কারণ ছাড়াই রূপবাল নামক ওই ব্যক্তি আমার সামনে এসে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ফোন করে সন্ত্রাসী ডেকে আনে। সন্ত্রাসীরা এসে আমার উপর হামলার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাদের প্রতিরোধ করে রূপবালকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
সদর থানার ওসি তদন্ত মাসুক আলী বলেন, আটককৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও খোজা হচ্ছে।
এদিকে থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা আটককৃত রূপবালকে এই প্রতিবেদক ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি।