স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বলেছেন, হাওর কন্যা সুনামগঞ্জ দক্ষিণ এশিয়ার সিঙ্গাপুর হিসেবে গড়ে ওঠার সকল সম্ভাবনা রয়েছে। সে লক্ষ্যে সরকার টাঙ্গুয়ার হাওর, যাদুকাটা, মুক্তিযোদ্ধা উপত্যকা ট্যাকেরঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে অবকাঠামো নির্মাণ করছে। সীমান্ত ও হাওরাঞ্চলকে যোগাযোগ আওতায় নিয়ে আসতে ধর্মপাশা ও মধ্যনগরেও বৃহত্তম সেতু হচ্ছে। এসব উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলে হাওরের সৌন্দর্য্যকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জ দক্ষিণ এশিয়ার সিঙ্গাপুরে পরিণত হয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ এলাকায় পরিণত হবে। সুনামগঞ্জকে এগিয়ে নিতে স্থানীয় মানুষদের সমন্বিত কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার রাতে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগার পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে তাঁর বিদায় সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন।
পাঠাগারের সহসভাপতি পৌর মেয়র নাদের বখতের সভাপতিত্বে ও এডভোকেট বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিদায় সংবর্ধনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রফেসর পরিমল কান্তি দে, এডভোকেট স্বপন কুমার দে, মুক্তিযোদ্ধা বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, ডা. মোনাওর আলী, মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, জগৎজ্যোতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সালেহ আহমদ, ডা. মোরশেদ আলম, প্রভাষক শাহ আবু নাসের, সাংবাদিক শামস শামীম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম আরো বলেন, আমার পরিবার সারাজীবন উজান সাতরে চলছে। আমি যখন প্রথম দায়িত্ব সুনামগঞ্জকে আসি তখন আমার বন্ধুরা দুর্গম ও পশ্চাদপদ এলাকা হিসেবে এখানে দায়িত্ব নেওয়ায় আমাকে টিকাটিপ্পনি দিয়েছিল। আমি বুঝেছি তারা আসলে শিকরচ্যুত মানুষ। না হলে কেন এমন অফুরান সম্পদ ও সম্ভাবনার অঞ্চলকে এভাবে মূল্যায়ণ করবে।
সুনামগঞ্জের মাছ ও ধান জাতীয়ভাবে উৎপাদনে বিরাট ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত বছর ফসল হারানোর পর সরকার কৃষি ভর্তুকিসহ সহায়তার জন্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। কিন্তু তার বিনিময়ে সুনামগঞ্জে এবছর প্রায় চার হাজার কোটি টাকার ধান উৎপাদন হয়েছে। দেশের মাছ উৎপাদনে ১৮ ভাগ যোগান দেয় সুনামগঞ্জ। তাই দক্ষিণ এশিয়ার সিঙ্গাপুর পরিণত হতে যা যা প্রয়োজন তার সব উপাদানই আছে সুনামগঞ্জে। তা কাজে লাগাতে উপস্থিত সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।
সংবর্ধনার শুরুতে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির পক্ষ থেকে লাইব্রেরির সভাপতি মো. সাবিরুল ইসলামকে বিদায় স্মারক ও শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে লাইব্রেরির আজীবন, সাধারণ সদস্যসহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।