স্টাফ রিপোর্টার::
সাধারণ মানুষের যাতায়াত বিঘিœত করে সুরমা নদী তীরে বালু পাথর সংরক্ষণ করায় দুই ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এসিল্যান্ট বিশ্বজিৎ দে ইব্রাহিমপুর এলাকায় এই জরিমানা আদায় করে। তাছাড়া একই আদালত সদর উপজেলার বনগাও এলাকার বনগাও ছড়ায় অভিযান চালিয়ে এক ড্রেজার মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
জানা গেছে ইব্রাহিমপুর এলাকায় বালু পাথর ব্যবসায়ীরা সুরমা নদীর তীরে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে বালু সংরক্ষণ করে রেখেছে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এই অভিযোগ পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বজিৎ দে সোমবার দুপুরে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শামসুল হুদা সোয়েল ও সার্ভেয়ার আতিকুর রহমানকে নিয়ে সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদুল্লাসহ পুলিশকে নিয়ে ইব্রাহিমপুর এলাকায় অভিযানে নামেন। নদী তীরে বালু সংলক্ষন করায় ইব্রাহিমপুর গ্রামের এখলাছ মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনকে ২৫ হাজার টাকা এবং কাইয়ারগাঁও গ্রামের মৃত কবীর হোসেনের ছেলে মকবুল হোসেনকে আরো ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এদিকে একই আদালত বনগাও এলাকায় বনগাঁও ছড়া থেকে অবৈধভাবে ড্রেজিং মেশিনে বালু উত্তোলনকালে কান্দি ছমেদ নগর গ্রামের হেলিম মিয়াকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পৃথক অভিযানে নগদ জরিমানা করেছেন। তবে কাউকে আটক বা কোন জিনিষ জব্দ করা হয়নি।