অনলাইন:
আজ পবিত্র হজ। আরাফাতের ময়দানে থাকার দিন। সেলাইবিহীন শুভ্র কাপড়ে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সারাবিশ্ব থেকে সমবেত মুসলমানরা আজ থাকবেন সেখানে। মিনায় অবস্থান নেয়ার মধ্য দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়েছে পবিত্র হজ পালনের আনুষ্ঠানিকতা। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ২০ লাখ মুসল্লি হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে রওনা হয়েছেন পবিত্র আরাফাত ময়দানের দিকে। সেখানে সারাদিন খুতবা শুনে আসরের নামাজের আগে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করবেন হাজিরা।
আকুল হৃদয়ে মহান রাব্বুল আলামিনকে বলবেন, লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি’ মাতা লাকা ওয়াল মুলক। আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির। তোমার কোনো শরিক নেই; সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার। সৌদি দৈনিক আল-আরাবিয়া জানিয়েছে, বাদশাহ সালমান এবার হজের খুতবা পড়ার দায়িত্ব দিয়েছেন মসজিদে নববীর ইমাম শেখ হুসেইন বিন আবদুল আজিজকে। এ খুতবা রেডিও ও টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে বিশ্বময়।
তাবুর নগরী মিনায় প্রথম দিন অবস্থান করে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর হাজিদের গন্তব্য এখন আরাফাতের দিকে। সকালে ফজরের নামাজের পর থেকেই মুসল্লিরা হজের প্রধান আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য জমায়েত হচ্ছেন পবিত্র আরাফাত ময়দানে। মিনা থেকে আরাফাত ১৪ কিলোমিটার পথ লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক ধ্বনিতে মুখরিত এখন। পবিত্র আরাফাত ময়দানেই দিনব্যাপী চলবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
পবিত্র আরাফাত ময়দানে বিদায় হজে ভাষণ দিয়েছিলেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম। দুপুরে আরাফাত ময়দানের মসজিদে নামিরার মিম্বারে দাঁড়িয়ে সারা দুনিয়ার মুসলমানদের জন্য দিক নির্দেশনা মূলক খুতবা দেয়া হবে। খুতবা শেষে মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হবে। পবিত্র হজ উপলক্ষে মক্কা, মদিনা, মিনা, আরাফাত ময়দান, মুজদালিফা ও এর আশে পাশের এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা নিয়েছে সৌদী সরকার। অন্য হাজিদের মতো লাল সবুজের পতাকা খচিত সাদা রঙের ছাতা হাতে ১ লাখ ২৬ হাজার জন বাংলাদেশীও মিনা থেকে জমায়েত হচ্ছেন আরাফাত ময়দানে।