সিলেট প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের ছাতকের বাসিন্দা সিলেটে অবস্থানকারী সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি এম.রশিদ আহমদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। মুখোশপড়া সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাথারি চুরিকাঘাত করে মৃত ভেবে পালিয়ে যায়। পরে সাধারণ মানুষ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে গুরুতর আহত রশিদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সিলেট নগরীর দর্শন দেউড়ি এলাকায় গত রবিবার দিবাগত রাতে সন্ত্রাসীরা তাকে প্রাণে হত্যার জন্য হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে রশীদের দুই হাত, বুক, পীঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
সিলেটের আওয়ামী রাজনীতির পরিচিত মুখ এম. রশীদ আহমদের উপর হামলার বিষয়টি সকলকেই ব্যথিত করেছে। সেই সাথে অনেকটা নাটকীয় স্টাইলে এই হামলার ঘটনা ঘটায় বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় আছেন তার সহকর্মী রাজনীতিবিদরা। এখনো এই হামলার সঠিক কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
এম এ রশিদ আহমদ সাংবাদিকদের সঙ্গে লাপকালে বলেন- রবিবার রাতে আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে আখালিয়ায় বাসায় ফেরার উদ্দেশ্যে একটি ভাড়া চালিত সিএনজি অটোরিকশায় উঠেন তিনি। অটোরিকশার সামনের সিটের ডান দিকে তিনি বসেছিলেন। আর বাকি চার সিটের পেছনে ছিলেন তিনজন এবং সামনে বাম দিকে ছিলেন একজন যাত্রী। আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে অটোরিকশা ছেড়ে দর্শন দেউড়ি এলাকার মেরিস্টোপস ক্লিনিকের সামনে যাওয়া মাত্র পেছন থেকে দুটি মোটর সাইকেলে চারজন যুবক চালককে গাড়ি থামাতে বলে। তখনও তিনি বুঝতে পারেননি যে তার উপরই হামলা করবে তারা। চালক রাস্তার বাম পাশে গাড়ি সাইড করে দাড়ানো মাত্রই অটোরিকশার সামনের বাম পাশে বসা যুবক নেমে তাদের সাথে যোগ দেয় এবং কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমার হাটুর উপরে ছুরিকাঘাত করে।
তখন আমি সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামলে তারা পাঁচজন আমাকে ঘিরে ফেলে। তাদের একজনের মাথায় হেলমেট, একজনের মুখে মুখোশ এবং বাকি দুজনের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। তখন তারা আমাকে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে চাইলে আমি তাদের একজনকে ধাক্কাদিয়ে দৌড়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। দৌড়ে কিছুদুর এগিয়ে হাউজিং এস্টেট গেইটে আর্কেডিয়া শপিং সিটির নিচে স্বপ্ন সুপার শপের সামনে গেলে তারা পেছন থেকে আমার পিঠে ছুড়িকাঘাত করলে আমি সেখানে পরে যাই, এরপর তারা আমার শরীরের বিভিন্নস্থানে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আমার বাঁচার সম্ভাবনা নেই ভেবে তারা সেখান থেকে চলে যায়। তখন আমি নিচ থেকে উপরে উঠে চিৎকার করলে কয়েকজন এগিয়ে এসে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
হামলাকারীদের কাউকেই চিনতে পারেন নি জানিয়ে রশীদ বলেন- আমার বিশ্বাস হয়নি তারা আমার উপর হামলা করবে। হামলার সময় আমি বার বার তাদেরকে জিজ্ঞেস করি, আমার অপরাধ কি? কিন্তু, তারা কোন উত্তর দেয়নি।
হামলার ফুটেজের ব্যপারে রশীদ বলেন- আমার স্পষ্ট মনে আছে আমাকে আঘাত করে তারা পালিয়ে যাওয়ার পর বিদ্যুৎ চলে যায়। আবার ৩০-৩৫ সেকেন্ড পর চলে আসে। হামলার সময়ের পুরোটাই ফুটেজ থাকার কথা।