দিরাই প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের দিরাই-মদনপুর সড়কে জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে পরিবহন ধর্মঘট। দিরাই বাসস্টেশনে কোনধরণের জানবাহন নেই, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতেই বাস স্টেশন থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে সকল ধরণের সড়ক যান। ফলে চরম ভোগান্তিতে পরেছেন দিরাই, শাল্লা ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ (আংশিক)সহ তিন উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। সকাল থেকে দিরাই-শাল্লা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কয়েকশত লোক দিরাই বাস স্টেশনে আসেন কিন্তু এসে দেখেন টিকিট কাউন্টার গুলো বন্ধ, কোন গাড়ী নেই। চরম বিপাকে পরেন বিভিন্ন গস্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আসা সাধারণ জনগণ। এক পর্যায়ে তারা বিক্ষোভ সেখানে বিক্ষোভ করেন। ক্ষুব্ধ ফিরোজ মিয়া (৬০) বলেন, কয়েকজন মালিক আর কয়েকশত শ্রমিকের কাছে আজ লক্ষাধিক মানুষ জিম্মি, রাস্তায় মানুষ হত্যা করবে আবার ধর্মঘটও ডাকবে! এভাবে চলতে দেয়া যায়না। শাল্লা থেকে আসা নিভা রানী দাস বলেন, শাল্লা থেকে অনেক কষ্টকরে এসেছি সুনামগঞ্জ যাওয়ার জন্য, কিন্তু এখানে এশে জানতে পারলাম গাড়ী চলবেনা, ধর্মঘট চলছে। পৌর সদরের হেলু মিয়া জানান, গতকাল ওসমানী মেডিকেল কলেজে আমার শশুরীর অপারেশন হয়েছে, পরিবার নিয়ে আজ সিলেট যাওয়ার জন্য বাস স্টেশনে এসে শুনি পরিবহন ধর্মঘট। উল্লেখ্য গত তিন দিনে দিরাই-মদনপুর সড়কে বেপরোয়া বাস’র চাপায় পিষ্ট হয়ে মারা গেছে দুইজন ও আহত হয়েছেন তিনজন। বৃহস্পতিবার সকালে দিরাই-মদনপুর সড়কের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার নোয়াখালী বাজার এলাকায় দিরাই বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারী মোটর সাইকেল আরোহী রায়েল আহমদ বাসের চাপায় পিষ্ঠ হয়ে মারা যান, তখন বিক্ষোব্ধ জনতা ঘাতক বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়, ফলে কয়েক ঘন্টা জান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরিবহণ ধর্মঘট কেন জানতে চাইলে জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেজাউল করিম জানান, দ্রুত বিচার আইনে গাড়ী পুড়ানোর মামলা নিচ্ছেনা পুলিশ। আগামীকাল (আজ) শনিবারের মধ্যে বাস পুড়ানো মামলা দ্রুত বিচার আইনে না নিলে রোববার থেকে সারা জেলায় পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হবে।